Business Talk

হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মরিচের দাম!!!

মরিচের

নিত্য-পণ্যের ঊর্ধ্বগতির তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে কাঁচা মরিচের। ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম তিন গুণ ছাড়িয়েছে। বছর ব্যবধানে দাম বেড়েছে ছয় গুণ।

 

দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ঈদের আগে হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তখন দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঈদের ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল মরিচের বাজার। টানা দুই মাস খরা, এরপর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় পণ্যটির দাম বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

 

বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় সম্প্রতি অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচা মরিচের বাজার। বৃষ্টির আগেও যে মরিচের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। অথচ বৃষ্টির কারণে সে মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায়। যদিও আমদানি শুরুর খবরে সোমবার কাঁচা মরিচের দাম নেমেছিল ২০০ টাকার ঘরে।

 

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আবার কোথাও এক পোয়ার দাম ১০০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

এ নিয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আবদুল বাসেদ মোল্লা জানান, সরবরাহ কম হওয়ার কারণে পাইকারিতেও এর দাম আবারও বাড়লো। এখন প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি পড়ছে ২৪০ টাকা। আর ভারত থেকে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা পাল্লা।

 

রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, কাঁচামালের দাম এমনই হয়। যখন বাড়ে, হুট করে বাড়ে। আবার যখন কমে আসে, তখন অন্য সব পণ্যের চেয়ে দ্রুত পড়ে যায়। কিন্তু এখন এর চাহিদা অনেক। সেই তুলনায় সরবরাহ কম।

 

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানির এই অনুমতি আগামী তিন মাসের জন্য বহাল থাকার কথা রয়েছে। ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম তিন গুণ ছাড়িয়েছে। বছর ব্যবধানে দাম বেড়েছে ছয় গুণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *