লাল চিড়া আমাদের কাছে একটি বহুল প্রচলিত খাদ্য। পেট ঠাণ্ডা করতে, পানির অভাব পূরণে এবং একই সাথে ক্ষুধা মিটাতে চিড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। লাল চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ভাতের বিকল্প হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। চিড়া বা চিড়ি হচ্ছে একধরণের খাবার যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে খাওয়া হয়। বাংলাদেশের সীমান্ত কিছু এলাকায় একে চিড়ি ও বলে ।ধান থেকে চিড়া বা চিড়ি তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের এই চিড়া বা চিড়ি পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতে হয়। চিড়া বা চিড়ি সালকেলি নামে এক ধরনের ধান থেকে লালচে ও সুস্বাদু চিড়ি তৈরি হয়।
পানি, দুধ , গুড় এর রস এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে। শুকনো চিড়া গুড়ের পাটালি দিয়ে খাওয়ার রীতি আছে। এটা খুব সহজে হজম হয়। মিষ্টির দোকান গুলোতে দই চিড়া বা চিড়ি একটি বহুল প্রচলিত খাবার।গুড়ের সঙ্গে চিড়ার একটি চমৎকার সমন্বয় আছে।
লাল চিড়ার উপকারিতা
চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে ফলে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খুবই ভালো একটি খাবার। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোন সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ। সকাল বেলায় নাশতার ফাঁকে খেতে পারেন দই কিংবা দুধের সাথে মিশিয়ে। সারাদিন পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে। হরহামেশা বিকেলের নাশতার টেবিলেও রাখা যায় এটি |