ভারতবর্ষকে বলা হয় মসলার দেশ। পোলাও, তেহারি, বিরিয়ানি, কাবাব, রোস্ট ছাড়াও মাংস রান্না করতে প্রয়োজন নানা রকমের-নানা পদের মসলার। রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় মসলা র গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না ।রান্নায় স্বাদ ও রং বাড়ানোর জন্যই শুধু মসলা ব্যবহার করা হয় না,মসলায় রয়েছে অনেক গুণ। সেরকম কিছু মসলা নিয়ে আজকের আর্টিকেল। এ মসলাগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় মসলা যা না রাখলেই নয়।
হলুদ: হলুদে আছে কারকিউমিন নামক এক ধরনের উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হলুদে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এটি ফাংগাস প্রতিরোধী, অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। এর ফলে শরীরে যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে হলুদ।
জিরা: জিরাতে আয়রন বা লৌহ রয়েছে। এ উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে। এছাড়া দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনেও লৌহর প্রয়োজন হয়। এসব ছাড়াও শরীরের বিপাকক্রিয়া ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে লৌহ।
গোল মরিচ: গোল মরিচ বা ব্ল্যাক পেপারে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, ভিটামিন সি ইত্যাদি। এছাড়া এটি একটি কার্যকরী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে।
লবঙ্গ: শ্বাসনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে লবঙ্গ খুব উপকারি । গলা ও অন্ননালীর শ্লেষ্মা দূর করেএটি। লবঙ্গ চা সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
তিল: তিলের মধ্যে লিগনানস নামের একটি উপাদান আছে যা যকৃৎ এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তিলের ভেতর আরও থাকা বিভিন্ন ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন শরীরের বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
মৌরি: মৌরি হজমে সহায়তা করে ও পেট-ফাঁপা কমায়। রক্তের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দিতে সাহায্য করে এটি। এছাড়া চর্বির হজমেও সাহায্য করে মৌরি।
কালোজিরা: কালোজিরায় থাইমোকিনোন নামের একটি উপাদান থাকে। এটি ফুসফুসের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
দারুচিনি: দারুচিনি ডালচিনি নামেও পরিচিত। এটি শরীরের বিভিন্ন এনজাইম নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও উপকারী দারুচিনি। এছাড়া সর্দি, ফ্লু, ও হজমের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক এ মসলাটি।
মেথি: ইনসুলিন রেসপন্স কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে মেথি। পরিপাকনালীতে গ্লুকোজের বিপাক নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে এটি।