Business Talk

ব্রয়লার মুরগী র ভয়াবহ দিক

কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করা হয় ব্রয়লার মুরগী। আপনি যদি পোলট্রি ফার্মের ব্রয়লার মুরগিগুলোর ভীতিকর বিষয়গুলো জানতে পারেন, তাহলে পরের বার মাংস খাওয়ার আগে একটু চিন্তা করবেন।

গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রতিবেদন। মানুষ তবে খাবে কী?

প্রতিবেদনে বলা হয় ব্রয়লার মুরগিকে কম সময়ে মোটা করার জন্য সিনথেটিক হরমোন দেওয়া হয়। যা মানুষের প্রজনন ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটায়। তাছারা, ব্রয়লার মুরগী রান্না করার সময় তাপমাত্রা বেশি রাখতে হয়, ফলে কারসিনোজেনিক নামে একটি পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থ মানব শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে।

ব্রয়লার মুরগী কে সুস্থ রাখার জন্য তাদের শরীরে আর্সেনিক প্রয়োগ করা হয়, যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যার ফলে ডায়াবেটিস, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ও ক্যান্সার হতে পারে।

সাধারণত মানব শরীরে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, তা মুরগির শরীরে দেওয়া দ্রুত বৃদ্ধির জন্য। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব থাকায় মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমে যায়। তাছাড়াও নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও হতে পারে।

এসব মাংসে ফাইবার কম থাকে কিন্তু ক্যালরি বেশি থাকায় ওজন বৃদ্ধি পায়। এই মাংস কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

তাহলে এই ব্রয়লামুরগি আসলে কতটাই স্বাস্থ্যসম্মত হতে পারে?

ব্রয়লার মুরগি প্রয়োগ করা হয় কৃত্রিম উপায়ে এবং সাধারণত তাদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিচর্যা ও যত্ন নেই। এদের উদ্ভিদ জীবন চক্র সংকুচিত এবং নিষ্পন্দন। ব্রয়লার মুরগীর খাদ্য প্রণালী ও পালন সিস্টেম মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এমন অবস্থায় থাকে না। তবে, কিছু ক্ষতিকর উপায়ে এগুলোর উত্পাদন ও পালন প্রক্রিয়া চালিত হলে স্বাস্থ্যসম্মত ব্রয়লার মুরগির প্রজনন নিশ্চিত করা সম্ভব। উপায় হতে পারে পোলট্রি ফার্মে স্বাস্থ্যসম্মত পালন ও প্রতিষ্ঠানের সুসংবদ্ধ নীতিমালা অনুসরণ করা, সুস্থ্য খাদ্য প্রদান, সম্পূর্ণ কৃত্রিম হরমোন ও খাদ্য পরিবেশ, এবং প্রয়োগকৃত ঔষধগুলোর নির্ধারিত মর্যাদা মেনে চলা। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগির খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যোগ করা যেতে পারে যা উপযুক্ত পোষণ সরবরাহ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *