বিরিয়ানি মসলার উপাদান
আজকাল বিরিয়ানি খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না। সময়ে, অসময়ে পেয়ে গেলে মনটা হঠাৎ করেই ভাল হয়ে যায়। কিন্তু কিনে অনেক সময় কিনে খাওয়া ছাড়া উপায়ও থাকে না। কিন্তু রোজ রোজ কিনে খেলে পকেটেও টান পড়বে, এর পাশাপাশি দেখা দেবে পেটের সমস্যা। কারণ রেস্তোরাঁর বিরিয়ানিতে যে সব সময় ভাল তেল ব্যবহার করা হয় তা নয়। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি বাড়িতে বিরিয়ানি তৈরী করে খান, সেটা অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু তৈরি করতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বিরিয়ানির মশলা তৈরি করতে। মশলা যদি একবার তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
দেখে নিন এক নজরে মশলার উপাদান ও এই মসলা যে ভাবে তৈরি করবেন-
কাশ্মিরী লাল লঙ্কা- ৫টি, গোটা ধনে- ৩ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ৫টি, জিরে- ১ টেবিল চামচ, শাহি জিরে- ১ টেবিল চামচ, জয়ত্রী- ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি- ২ স্টিক, লবঙ্গ- ১ চা চামচ, বড় এলাচ- ৩টি, স্টার আনিস- ২টি, গোটা গোলমরিচ- ১ টেবিল চামচ, ছোট এলাচ- ১০টি, মৌরি- ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, জয়ফল গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ।
শুকনো কড়াইতে গোটা মশলাগুলো ড্রাইরোস্ট করে নিতে হবে। প্রথমে কড়াইতে তেজ পাতা ও শুকনো লঙ্কা দিয়ে কম আঁচে রেখে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। রঙ বদলাতে শুরু করলে এই দুটো উপাদান নামিয়ে নিন। এবার ওই কড়াইতে দারুচিনি, জয়ত্রী ,লবঙ্গ , ছোট এলাচ, স্টার অ্যানিস, গোটা গোলমরিচ ও বড় এলাচ দিয়ে কম আঁচে রেখে নাড়াচাড়া করুন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
আবার ওই কড়াইতে গোটা জিরে, গোটা ধনে, শাহি জিরে ও মৌরি দিয়ে ভেজে নিন। এই মশলাগুলো ভাজা হয়ে গেলে সব মশলা গুলোকে ঠান্ডা করে এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মশলাগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। মশলা গুঁড়ো হয়ে গেলে এতে হলুদ গুঁড়ো ও জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার একটি কাঁচের জারে বা কৌটোতে মশলাটা রেখে দিন। যে পাত্রে রাখবেন সেটা যেন শুষ্ক হয়।
আমাদের কাছে আছে নিজেদের তত্বাবধানে উৎকৃষ্ট মানের মসলার উপকরন থেকে ভাঙ্গানো নির্জলা প্রাকৃতিক ১০০% শুদ্ধ মানের মসলার গুড়া। তাছাড়া আরো আছে কাবাব মসলা, চটপটি মসলা,চিকেন বিরিয়ানি মসলা,কালা ভুনা মসলা,চাট মসলা,কাচ্চি বিরিয়ানি মসলা,রোস্ট মসলা,চিকেন ফ্রাই মশলা,গরম মশলা,মাংসের মসলা এসব ধরনের মসলার গুড়া। যাতে অন্য কোন উপাদান মেশানো নেই এবং ১০০% খাটিঁ। স্বাদে ও মানে অতুলনীয়।