Business Talk

বাংগি তরমুজের বাজারে আগুন!!!

রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে আগুন লেগেছে বাংগি তরমুজের। যে আগুনে নিম্নমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার।আমদানি নির্ভর বিভিন্ন ফলমূল বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও দামের কমতি নেই এ রমযানে। নিজ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলমূলের দাম আকাশ ছোঁয়া তার মধ্যে বাংগি তরমুজের দাম অন্যতম। এ কারনে বিপাকে পড়েছে বর্তমানে রোজাদার ভোক্তারা, বিশেষকরে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ।

এদিকে, গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে ইফতারে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা তরমুজই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন আর বাংগি তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেররা। এরই মধ্যে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

বাঙ্গির দামে একরকম আগুন লেগেছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও, কণ্যাণপুর, রিং রোড, আদাবর ও কৃষি মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আকার ভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও দেশি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়।

বাঙ্গির দাম তরমুজের তুলনায় দ্বিগুণের। শুক্রবার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাঁচা বাজারে মাঝ বয়সী এক বাঙ্গি বিক্রেতা ষাটোর্ধ্ব এক ক্রেতার কাছে এক কেজি ওজনের একটি বাঙ্গির দাম চান ১২০ টাকা। এ কথা শুনে ওই ক্রেতা রেগে গিয়ে বলেন, এত ছোট একটি বাঙ্গির দাম ১২০ টাকা চান কেন? তখন বিক্রেতাও ক্রেতা ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের ঝগড়া থামাতে দেখা যায়।

এদিন মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ফল বিক্রেতা রাকিবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আজ দেশি বাঙ্গি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে পাশের ফলের দোকানে চিনা বাঙ্গি (কাঁচা) ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বাঙ্গির দামের বিষয়ে একই বাজারের দোকানি মো. লিটন মিয়া বলেন, বাজারে বাঙ্গির সরবরাহ কিছুটা কম। আর পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ দেশি বাঙ্গি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে চিনা বাঙ্গি (হাইব্রিড) ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *