কৃষি নির্ভর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। অন্যান্য ফসলের মতই ধান চাষে সফল আমদের দেশের কৃষক। বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে প্রচুর লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা এবং চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।
আমন মৌসুমে নতুন জাতের স্বল্প সময়ে ফলন দেওয়া বিনাধান -১৭ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সুনামগঞ্জের চাষীরা। হেক্টর প্রতি এ জাতের ধানের ফলন হয়েছে ৭ মেট্রিক টনের বেশি, যা অন্য ধানের চেয়ে বেশি। আর সময় ও শ্রম কম লাগায় খুশি চাষীরা।
এই ধানে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। ১১২-১১৮ দিনের মধ্যেই এই ধান ঘরে তুলতে পারেন চাষীরা। তারপর একই জমিতে সরিষা, ভুট্টা আলুসহ রবিশস্য চাষ করতে পারছেন তারা। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়ায় বিনাধান ১৭ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। এ যেন বসন্ত বাতাসে আমন ধানের সবুজ ঢেউ জেলার কৃষকদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজপাতা ও কাঁচা শীষ। কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আর এমন সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি। এ যেন রোপা আমন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।রোপা আমন ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। প্রতিটি ধানের ক্ষেতে দুলছে সবুজপাতা। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।স্থানীয় কৃষক এনামুল হক জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত আমন ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।