ড্রাগন ফলের চাষ এখন দেশেই হচ্ছে। ফলে এর দেখা মিলছে এখন প্রায় সবখানেই।এটি দুই ধরনের হয়- ভেতরের অংশ লাল ও সাদা। যদিও ড্রাগন নামটা শুনলেই যেন ড্রাগনের কথা মনে পড়ে। কিন্তু দেখতে ও খেতে চমৎকার হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য । ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল। বর্তমানে বাংলাদেশে এর চাহিদা বাড়ছে, তাই উৎপাদনও বাড়ছে। জেনে নিন কেন নিয়মিত এই ফল খাবেন।
ড্রাগন ফল যা পিতায়া নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus) এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্টাস) প্রজাতির ফল। গণচীন-এর লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মুক্তার ফল বলে, ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত। অন্যান্য স্বদেশীয় নাম হলো স্ট্রবেরি নাশপাতি বা নানেট্টিকাফল। এই ফলটি একাধিক রঙের হয়ে থাকে। তবে লাল রঙের ফল বেশি দেখা যায়।
এ ফলের চাষ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া , মেসোআমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে।
ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি ফল। এর ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। তবে এতে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এক কাপ ফলে ক্যালোরির মাত্রা ১৩৬, প্রোটিনের মাত্রা ৩ গ্রাম, ফ্যাটের মাত্রা শূন্য, ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ।
বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে এ ফল থেকে। এগুলো আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রি। ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন । প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে ফলটি থেকে। নিয়মিত খেলে তাই বাড়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সঠিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চাইলে তাই প্রতিদিন খাওয়া চাই উপকারী এই ফল। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে । রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে উপকারী এই ফলের।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে। এর ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।