ডিম খুব স্বাস্থ্যকর খাবার। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন এ ও ডি উচ্চ পরিমাণে থাকে। এটি শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। ডিম খাওয়ার পর অনেকে লক্ষ্য করেন যে তাদের ওজন কমে যায়। এটি একটি নির্ভরযোগ্য খাবার এবং সকালের নাস্তায় একটা সিদ্ধ ডিম অবশ্যই রাখবেন। কারন সিদ্ধ ডিমটা ওমলেট বা পোচ ডিমের চেয়ে ক্যালোরি কম কিন্তু বেশি পুষ্টিকর।এটি হচ্ছে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, তাই ক্ষুধা কম লাগে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদা কমে, তাই ওজনও কমে। পুষ্টি চাহিদা পূরণে এর জুড়ি নেই।
ডিমের কুসুম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অনেকে মনে করেন।
তবে আপনি হয়তো জানেন না ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনাকে খেতে হবে।
ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এটি রাখতে পারেন। তবে ভুনা ডিম বা পোচ নয়, খান এই তিনটি উপায়ে।
আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে কীভাবে ডিম খাবেন:
১. হাঁড়িতে পানি নিয়ে তাতে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে ডিম ভেঙে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পরই পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন পানি থেকে। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। আর পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমে।
২. আপনার প্রতি দিনের খাবার তালিকায় সালাদ থাকে, এতে নতুনত্ব আনতে যোগ করুন সিদ্ধ ডিমের কুঁচানো অংশ। এর সঙ্গে মেশান গোলমরিচ ও লেবুর রস। এতে পুরো ডিমের পুষ্টিগুণ তো মিলবে। আর মেদও ঝরবে দ্রুত।
৩.এর সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটমিল শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়।
ডিম প্রোটিনের একটি সুস্বাদু উৎস। প্রতিদিন একটি খেলে আপনি থাকবেন ফিট এবং কাজে কর্মে হবেন হিট তাই ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সিদ্ধ ডিম।