Business Talk

জেনে নিন রাধুনি কি ও তার ব্যবহার

রাধুনি

জেনে নিন রাধুনি কি তার ব্যবহার

রাধুনি খুবই ঝাঁঝালো একটি মসলা। এর গন্ধ বিলাতি রাধুনির মত কিন্তু স্বাদে পাথুনির মত। দুই চিমটি রাধুনি দিলেই তরকারির গন্ধ সম্পূর্ণ বদলে যায়। এটি পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত বাঙালি খাবারের একটি জনপ্রিয় মশলা। বাঙালি খাবারে এই মশলার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বাঙালি শৈলীর রন্ধনপ্রণালীতে গোটা বীজ খুব গরম তেলে দ্রুত ভেজে ফাটিয়ে ব্যবহার করা হয়।

রাধুনির বৈজ্ঞানিক নাম Trachyspermum roxburghianum বা Carum roxburghianum। হিন্দিতে একে “আজমোদ” বলা হয়। শব্দটি সংস্কৃতে “Ajamoda” বা “Ajamodika” থেকে এসেছে। এটি এপিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে এটি প্রচুর চাষ করা হয়। এর শুকানো সুগন্ধী ফল বা বীজ বাঙালি শৈলীর রন্ধনপ্রণালীতে প্রায়শই ব্যবহার করা হয়, যদিও ভারতের বাকী অংশে এর ব্যবহার বিরল। রাঁধুনি উদ্ভিদের টাটকা পাতা থাইল্যান্ডে ভেষজ হিসেবে এবং মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কাতে ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এই মশলার প্রদত্ত নাম রাধুনি। এই মশলাগুলো বাঙালিরা সহজেই চেনেন।

 

হজম বা পরিপাক ক্রিয়া রাঁধুনি ফোড়ন খুবই উপকারী। বদহজম, গ্যাস, অম্বল, পেটের মাংসপেশির ক্র্যাম্প দূর করে এই মশলা। আয়ুর্বেদ মতে শরীর থেকে কফের প্রভাব দূর করে রাঁধুনি। শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে এই মশলা। এই মশলাটি আমাদের দেহের ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়। মাসিকের ক্র্যাম্প কমানো আরেকটি সুবিধা। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা ব্যবস্থাপনায়ও সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান থাকায় রাঁধুনি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে দেয় না। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। শরীরে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। রাঁধুনি মশলা নিয়মিত ডায়েটে থাকলে আয়রনের যোগান বজায় থাকে। রক্তাল্পতায় ভুগলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে রাঁধুনি ফোড়ন খান।

 

বাংলায় রাধুনি একটি বহুল ব্যবহৃত মসলা। এটা ডাল এ ফোরন দেওয়াতে ব্যবহৃত হয়। শুকতো রান্নায় রাধুনি মসলা ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া আচার তৈরীতেও ব্যবহৃত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *