ইদানিং মার্কেট ও রাস্তা-ঘাটের সামনে গেলে চোখে পড়ে ভ্যানগাড়িতে পোড়ানো হচ্ছে ভুট্টা ।যাকে অনেকে পপকন হিসেবে কিনে থাকেন। অনেকে আবার কর্ন স্যুপ মিশ্রিত ভেজিটেবল স্যুপ খেয়ে থাকেন। কেবল খেতেই ভালো নয়, বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই দানা।
ভুট্টা (বৈজ্ঞানিক নাম Zea mays) একপ্রকারের খাদ্য শস্য। এই শস্যটির আদি উৎপত্তিস্থল মেসোআমেরিকা।ইউরোপীয়রা আমেরিকা মহাদেশে পদার্পণ করার পর এটি পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতি ১০০ গ্রামে ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১.৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক ভুট্টা খাওয়ার উপকারিতা-
ভুট্টায় থাকা ফাইবার ও ভিটামিন B3 ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
ভুট্টার আটায় তৈরি রুটি হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। কর্নে এমন কয়েকটি যৌগ থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। যাদের ক্যান্সারের সমস্যা রয়েছে তাদের খাওয়া উচিত। ভুটায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ। যা ক্যান্সার কোষকে নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে। ভুট্টা শরীরে এক টন বিটা ক্যরোটিন সরবারহ করে যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ইনসুলিনের শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।
ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে।
এটি একাধিক স্বাস্থ্য গুণ থাকলেও অনেক সময় ভুট্টা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ও হয়ে ওঠে। ভুট্টায় থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার পেটে ব্যথার জন্ম দেয়। শুধু পেটের যন্ত্রনাই নয়, একইসাথে পেট ফাঁপা, পেট খারাপ এর মতন একাধিক পেট সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি হয়।ভুট্টার মধ্যস্থিত গ্লুটেন আবার অনেক মানুষের ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে।কিছু ক্ষেত্রে আবার অধিক ভুট্টা গ্রহণ শরীরে পেলেগ্রা, ডায়রিয়া, চর্মরোগ এর মতো শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত ভুট্টা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।