চটপটি মসলা রেসিপি
ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই…কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই…কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।???
তাই আজ নিয়ে আসলাম একদম চটপটি ওয়ালা মামার মত করে বানানো আমার চটপটির মশলা। এটা দিয়ে তেরী চটপটির স্বাদ ও ঘ্রান একদম আমাদের বাংলাদেশের চটপটি ওয়ালা মামার চটপটির মতই হবে। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের চটপটির মশলাও পাওয়া যায় চাইলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘরে বানানো যেকোনো কিছু হবে সবথেকে বেশি স্বাস্থ্যকর ।
রাস্তার পাশে মামাদের দোকানের সুস্বাদু চটপটির স্বাদ ঘরে পেতে আমার এই স্পেশাল চটপটির রেসিপিটি দেখে নিন। তাছাড়া যেকোনো চটপটে খাবারে স্বাদ বাড়াতে দোকানের কেনা চাট মশলার পরিবর্তে এই ঘরে বানানো মশলা ব্যবহার করতে পারেন। । যা আপনি চাইলে ৬ মাস সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
চটপটি মসলা উপকরন:-
মৌরী – ২ চা চামচ।
শুকনা মরিচ – ৭-৮ টি।
গোটা জিরা – ২ টেবিল চামচ।
মেথি – ২ চা চামচ।
গোটা ধনিয়া – ২ টেবিল চামচ।
গোল মরিচ – ১ চা চামচ।
কালোজিরা – ১ চা চামচ।
লবঙ্গ – ৮-৯ টি।
সরিষা – ১ চা চামচ।
রাঁধুনি – ১ চা চামচ।
বিট লবন – ২ টেবিল চামচ।
ড্রাই ম্যেঙ্গ পাউডার ( আম চূর পাউডার )- ২ চামচ।
আদা পাউডার -১ চা চামচ।
চটপটি মসলা প্রস্তুত প্রণালী
মসলা তৈরির জন্য প্রথমে কড়াই গরম করে তাতে আম চূর, বীট লবন এবং আদা পাউডার বাদ রেখে বাকি সব মসলা হালকা টেলে নিতে হবে হালকা আঁচে ২-৩ মিনিট ধরে। খেয়াল রাখবেন মশলা গুলি যেন পুড়ে না যায়।
আবার কম ও যদি টালা হয় মসলার আসল স্বাদ পাওয়া যাবে না ৷ তাই মসলা সেই ভাবে টেলে নিতে হবে ,বেশি ভাজা ও হবেনা আবার কম ওনা।
এরপর মশলা গুলি কড়াই থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে সব মশলাগুলি মিক্সিতে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন এবং বীট লবন , আম চূর,ও আদা পাউডার মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করা এ চটপটি মসলা গুঁড়া কোন এয়ার টাইট প্যাকেট অথবা কাচের জারে ভরে রাখলে ৬ মাস সংরক্ষন করতে পারবেন। তবে তিন মাসের মধ্যে যেকোনো মশলা শেষ করা ভালো…এতে করে মশলার সুগন্ধ বেশি ভালো পাওয়া যায়।
আলু চাট ,ভেলপুরি ,চটপটি , ফ্রুট চাট , ঝাল মুড়ি এই মসলা ব্যবহার করা যাবে ৷তৈরি করা মসলা ফ্রিজে রাখলে বেশি ভালো থাকে ফ্রেশ থাকে।