কেওড়া জলের উপকারীতা কি???
কেওড়া জল পানদানাস (Pandanus) নামক একটি ফুলের নির্যাস। এটি দেখতে স্বচ্ছ তরল, ঠিক গোলাপ জলের মতো দেখতে। বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি, মাংস, পানীয় ও বিভিন্ন ভাবে রান্নায় ফ্লোরাল ফ্লেভার আনতে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন গ্ৰোসারী শপ বা মুদির দোকানে কেওড়া জল বোতলজাত করে বিক্রি করা হয়।
খাবারের ঘ্রাণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। তবে শুধু রসনাতৃপ্তিই নয়, ত্বকের জন্যও কেওড়ার জল দারুণ উপযোগী।এ জলের ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীন কাল থেকে, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক রাসয়নিক পদার্থ রয়েছে। এতে হিউমেক্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
শরীরের প্রদাহ কমাতে কাজ করে।এ জল শারীরিক গরমকে সতেজ করে। ঘামের মাধ্যমেই অতিরিক্ত গরম কম করতে সক্ষম। স্কিনের সমস্যা! ব্রণ থেকে শুষ্ক চামড়া, নির্জীব কোষের সমস্যায় কেওড়া জল কাজ দেবে। এক্সিমা থেকে স্কিনের নানান সমস্যা যেমন চুলকানি জ্বলুনি এমনকি স্কিনের ভাঁজে ভাঁজে দাগ পড়ে গেলেও কিন্তু এর থেকে রেহাই মিলতে পারে। শুধু শারীরিক নয় এর সুগন্ধ কিন্তু মানসিক শান্তি বজায় রাখতে খুব ভাল কাজ করে। মগজাস্ত্রে সেরোটোনিন বাড়িয়ে মন ভাল রাখে। তাহলে আজকের পর থেকে কিন্তু একে নানানভাবে ব্যবহার করতে হবে।
কেওড়া বাংলাদেশের প্রধান পানীয় ফসল হিসাবে পরিচিত। বছরে দুইটি মৌসুমে কেওড়া রোপণ ও উৎপাদন হয়, এটি প্রধানত বর্ষাকালে বীজ বপনের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। কেওড়া উন্নত উৎপাদনের জন্য উত্তম জমি ও সঠিক পরিচর্যার প্রয়োজন।
এটি রোপণের জন্য জমি নির্বাচনের সময় ধরণ সুযোগ-সীমিত। এটি বেশ কাঠিন্য সহজে স্থানান্তর করা যায় না। সাধারণত উচ্চ আবহাওয়ায় সক্রিয় রয়েছে কেওড়া চাষের ব্যবস্থাপনায়। এটি সাধারণত মাঠ বা মাটির জমিতে ভাল ফলাফল দেয়। সঠিক জমি প্রশ্ন জানতে হলে একজন অভিজ্ঞ কৃষি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেবেন।
কেওড়া চাষের জন্য বীজ প্রাপ্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ গুণমানের বীজ নির্বাচন করা উচিত। বীজ বপনের আগে এটি উষ্ণতা ও আর্দ্রতা পরীক্ষা করা উচিত। বীজ বপনের সময় উচ্চতা সঠিক রকমে রাখতে হবে এবং বীজ দড়ি দিয়ে ঠিকমত দিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়াও পরিবেশের বিশেষ পরিচর্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
চাষের ক্ষেত্রে রোগ ও পুক্ষিত দমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে হবে। পুক্ষিত গাছের সময় তা সঠিক রকমে সংগ্রহ করে নিতে হবে এবং তা নষ্ট করে ফেলা উচিত। এছাড়াও পোকা ও নোয়া নিয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।