বর্তমান সময়ে এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সত্যিই কঠিন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আধুনিক জীবনযাপনই এই রোগের আঁতুরঘর। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম কাঁচা খেলে কমতে পারে ডায়বেটিস। ইনসুলিনের ঘাটতিই এ রোগের মূল দিক। একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা। রোগা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে এই রোগের কারণে।
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ক্যাপসিকামে থাকা হজমে সহায়তাকারী এনজাইম আলফা-গ্লুকোসিডেজ কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে, প্যানক্রিয়াটিক লাইপেজকে লিপিড ও ফ্যাটকে ফ্যাটি অ্যাসিডে ভাঙতে পারে। হলুদ ক্যাপসিকাম কার্বোহাইড্রেট ও লিপিডের ডায়জেশনের মাত্রাও কমাতে পারে। ফলে শুধু ডায়বেটিস নয়, কাঁচা ক্যাপসিকাম খেলে কমতে পারে ওজনও।
বিজ্ঞানী ডা. অশোক কুমার তিওয়ারি জানান সবুজ ক্যাপসিকামের থেকে দ্বিগুণ উপকারী হলুদ ক্যাপসিকাম। কার্বোহাইড্রেট ও লিপিডের ডায়জেশনের মাত্রা কমলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে। ফলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারলিপিডেমিয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই সালাডের সঙ্গে হলুদ ক্যাপসিকাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী বলে জানিয়েছেন ডা. তিওয়ারি। লাল ক্যাপসিকাম শরীরে লিপিডের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে হলুদ ক্যাপসিকামের সমগুণযুক্ত হলেও গ্লুকোসিডেজ ক্ষমতা সবুজ ক্যাপসিকামের মতো। লাল ও হলুদ ক্যাপসিকামের মধ্যে পাওয়া যায় অলিগোমেরাইজড অ্যানথোসিয়ানিনস যা সবুজ ক্যাপসিকামে অনুপস্থিত। যার ফলে উজ্জ্বল রঙ হয় হলুদ ও লাল ক্যাপসিকামের।
তাছাড়া ভিটামিন সি এর ভালো উৎস ক্যাপসিকাম। ৩৭৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রান্নার ফলে ক্যাপসিকামের পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়। তাই এটা কাঁচা খাওয়াই উত্তম।