Business Talk

আপেল এর উপকারীতা

কথায় বলে, one apple a day, keeps the doctor away. এটি একেবারে খাঁটি সত্যি কথা। লাল টুকটুকে অথবা হালকা সবুজ এই আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।ফলটিকে দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। চলুন সুস্বাদু আবার উপকারি এই ফলটির সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নিই।

পুষ্টিগুণ

আপেল বিভিন্নরকম পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে তোলে। আপেলের অর্ন্তগত ফ্লাভোনয়েডস হার্টের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি। যার ওভার ওয়েট তারাও নিশ্চিন্তে ডায়েটে রোজ একটি আপেল রাখতে পারেন, কারণ মিষ্টি ফল হলেও আপেলে ক্যালরির পরিমাণ খুবই সামান্য। পাশাপাশি এতে রয়েছে ফেনল, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবেও উঠে আসে আপেলের নাম। আপেল দাঁতের জন্যও খুব উপকারি। অনেক সময় নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে দাঁতের ক্ষতি হয়, আপেলের রস প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে। আপেলের মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা অ্যালঝাইমারসের মতো অসুখ রোধ করতে সাহায্য করে।

উপকারিতা

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। অন্যদিকে আপেলের পুষ্টিগুণ প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, আপেল ও নাশপাতিয় খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম হতে পারে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে ও বিভিন্ন পলিফেনলের জন্য এই আপেল অত্যন্ত উপকারী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি যেমন রোধ করে,তেমনি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। পানি ও ফাইবারের পুষ্ট এই ফল একটি করে খেলে ক্ষুধা মিটে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরিও প্রবেশ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপেলের রস ও পিউরির থেকে একটি গোটা আপেল প্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি পেট ভর্তি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

বয়সের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা। সঙ্গে উদ্বেগের কারণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ও সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করে

আপেলের সাহায্যে আপনি সফলভাবে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। কারণ এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল। আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খোঁজেন বা সময় থাকতে স্থূলতা থেকে বের হয়ে আসতে চান, তাহলে হাই-ফাইবার ও কম চিনিযুক্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

সুস্থ অন্ত্রের জন্য

আপেল হলো পেকটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্‍স। যেটি প্রিবায়োটিক হিসেবে শরীরে কাজ করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা খাওয়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য হজমের সমস্যা দূর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *